মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টায় প্রতিবেশী দেশ ভারত নানাভাবে আমাদের সাহায্য করে। আশ্রয়গ্রহণকারী বাঙালি শরণার্থীদের ভারত খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা দেয়। তারা মিত্রবাহিনী নামে একটি সহায়তাকারী বাহিনী গঠন করে। 'অপারেশন জ্যাকপট' নামক আক্রমণে এই বাহিনী বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করে। মিত্রবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী মিলে গঠন করা হয় যৌথবাহিনী।
১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর হঠাৎ পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতের কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে বোমা হামলা চালায়। এর ফলে যৌথবাহিনী একযোগে স্থল, নৌ ও আকাশপথে পাল্টা আক্রমণ করে। তীব্র আক্রমণের ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ফলে মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে যৌথবাহিনীর পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং পাকিস্তানের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে আমাদের সত্যিকারের বিজয় অর্জিত হয়। প্রতিবছর ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয়দিবস পালন করি। এর কিছুদিন পর ১৯৭২ সালের ৮ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন এবং ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি মদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে বাঙালি জাতি কীভাবে বিজয় অর্জন করেন – শিক্ষকের সহায়তায় - আলোচনা কর। যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে সেগুলো হলো :
• সামরিক বাহিনী
• সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ
• বৈদেশিক সমর্থন ও সহায়তা
• মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত কারণ
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করার ছবিটি নিয়ে একটি ছোট অনুচ্ছেদ লেখ।
পাশের ছবিটি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরার। তিনি পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ কর।
১৯৭১ সালের এই দিনগুলোতে কী ঘটেছিল?
২১ শে নভেম্বর……………………………………………………………………………………………………………………………………………………
৩ৱা ডিসেম্বর………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
১৬ই ডিসেম্বর……………………………………………………………………………………………………………………………………………………….